এখনকার হট টপিক HTTPOOL 

বাংলাদেশ থেকে ফেসবুক অ্যাড বন্ধ করে দিয়েছে তথ্যটি সঠিক নয়। HTTPOOL মূলত একটি মার্কেটিং এজেন্সি, তারা ফেসবুকের অথোরাইজ সেলস পার্টনার হয়ে অ্যাড একাউন্ট প্রোভাইড করে এবং অ্যাড সার্ভিস প্রোভাইড করে।
HTTPOOL সাময়িক ভাবে কার্যক্রম বন্ধ আছে, এর মানে বাংলাদেশে ফেসবুক অ্যাড বন্ধ হয়েছে এমন নয়। যে কেউ তার নিজের অ্যাড একাউন্ট দিয়ে নিজে নিজে অ্যাড দিতে পারবেন অথবা এজেন্সির মাধ্যমেও দিতে পারবেন।
HTTPOOL নিয়ে বিভ্রান্তমূলক নিউজে প্যানিক হয়ে যাবেন না।
HTTPOOL কারা? সে সম্পর্কে জানুন! তারা কি করে? সে সম্পর্কে জানুন! এর পর নিউজ করুন। 

শুনেন সবাই! আশা করি এবার সবার ক্লিয়ার হয়ে যাবে ব্যাপারটা!
সমস্যা HTTPOOL এর। ফেসবুকে এড দিতে কোন সমস্যা নেই। ডলার সংকটে HTTPOOL ফেসবুককে পে করতে পারছে না তাই তাই এই সমস্যা। কিন্তু আমরা যারা নিজস্ব বিজনেস ম্যানেজার ইউজ করি ও নিজস্ব পেমেন্ট মেথড ইউজ করি তাদের কোন সমস্যা নেই। সুতরাং ডেইলি স্টারের নিউজের হেডলাইন দেখে বিভ্রান্ত হবেন না।

আমাদের কাছে প্রায়ই অনেকে প্রশ্ন করেন আপনাদের এড একাউন্ট অথোরাইজড কিনা। সত্যি বলতে আমাদের সবার এড একাউন্টই অথোরাইজড। আমরা সবাই ফেসবুকে বিজনেস ম্যানেজার ক্রিয়েট করে এড একাউন্ট ক্রিয়েট করে থাকি। সো এক্ষেত্রে এই বিজনেস ম্যানেজার বা এড একাউন্ট সম্পূর্ণ বৈধ ও কার্যকর।

HTTPOOL (মাদার কোম্পানি Aleph) তারা ফেসবুকের অথোরাইজড সেলস পার্টনার। তাদের থেকে নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে এড একাউন্ট নেয়া যায়। এই এড একাউন্টকেই মানুষ সাধারণত অথোরাইজড এড একাউন্ট বলে থাকে।

হ্যাঁ, আপনি চাইলে অবশ্যই এই HTTPOOL এড একাউন্ট ইউজ করতে পারেন। তবে এই এড একাউন্ট তাদেরই বেশি প্রয়োজন যাদের নিজস্ব পেমেন্ট মেথড (ডুয়েল কারেন্সি কার্ড) নাই। বিভিন্ন ইকমার্স সাইট যারা ফেসবুকে প্রতি মাসে কোটি টাকা স্পেন্ড করে তারা প্রায় সবাই নিজস্ব এড একাউন্ট ইউজ করে।

আপনি ফেসবুকের পলিসি ভায়লেশন করলে যেকোন এড একাউন্টই ডিজেবল হবে। হোক সেটা HTTPOOL এড একাউন্ট। তবে HTTPOOL আপনাকে হেল্প করলে ডিজেবল এড একাউন্ট ফিরিয়ে আনতে।

এই কথার কোন ভিত্তি নেই। আপনার এডের পার্ফমেন্স নির্ভর করে আপনার কন্টেন্ট ও অডিয়েন্স টার্গেটিং এর উপর। HTTPOOL এড একাউন্ট ইউজ করলে পার্ফমেন্স ভালো হবে এমন কোন কথা নেই।

একদমই না। সব এড একাউন্টই ফেসবুকের বিজনেস ম্যানেজার ইউজ করে ক্রিয়েট করা ফলে সব এড একাউন্টই বৈধ।
পরিশেষে বলি, এড একাউন্ট আসলে মূল বিষয় না। মূল বিষয় হলো পেমেন্ট মেথড কে কি ইউজ করছে। যেমন আমরা পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড ইউজ করে এড রান করে থাকি। অনেকেই ভার্চুয়াল কার্ড ইউজ করে ফেসবুকের পেমেন্ট ফাকি দেয় বা থ্রেসল্ড ইউজ করে পেমেন্ট ফাকি দেয়। এই ধরণের অবৈধ কাজগুলোই আপনার পেজ বা এড একাউন্টের জন্য ক্ষতিকর।