ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-Dhaka University

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-Dhaka University

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-Dhaka University

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার মাইলফলক হিসেবে পরিচিত, দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করছে। ১৯২১ সালে স্থাপিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ব্রিটিশ শাসনামলে পূর্ব বাংলার জনগণের উচ্চশিক্ষার চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আজও এটি শিক্ষা, সংস্কৃতি, এবং গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিগণিত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্যাম্পাসটি স্থাপত্য, ঐতিহাসিক নিদর্শন, এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমন্বয়ে গঠিত। ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা যেমন লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, এবং কমনরুম রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়, যা তাদের ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি অনুষদ, ৮৩টি বিভাগ, ১২টি ইনস্টিটিউট এবং প্রায় ৫৬ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এর বিভিন্ন বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। বিশেষ করে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, এবং সমাজবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণার জন্য বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব যেমন কাজী নজরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব জগদীশ চন্দ্র বসু, প্রফুল্ল চন্দ্র রায় এবং আব্দুল গণি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংযুক্ত ছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের জন্যও গর্বের কারণ, যাদের অনেকে দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে সাফল্য অর্জন করেছেন।

ইতিহাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ এবং উল্লেখযোগ্য। ১৯২১ সালের ১ জুলাই ব্রিটিশ শাসনামলে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পূর্ব বাংলার শিক্ষার প্রসার এবং উচ্চশিক্ষায় একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছিল। বিশেষ করে, বঙ্গভঙ্গ রদের পর পূর্ব বাংলায় শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি এবং মুসলিম শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় আগ্রহ বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দেয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান এর জন্য প্রধান ভূমিকা পালন করেন লর্ড রোনাল্ডশে, যিনি তৎকালীন বাংলার গভর্নর ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী ব্যক্তির সমন্বয়ে একটি কমিশন গঠন করেন। এই কমিশনের সুপারিশ অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়।

প্রথম দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র তিনটি অনুষদ ছিল—কলা, বিজ্ঞান এবং আইন। প্রতিষ্ঠাকালে ছাত্রসংখ্যা ছিল মাত্র ৮৭৭ এবং শিক্ষক সংখ্যা ছিল ৬০ জন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, এবং পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্ববিদ্যালয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিশেষত, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল প্রতিবাদের কেন্দ্রস্থল। ছাত্ররা মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলনে অংশ নেন এবং শহীদ মিনারে তাদের আত্মত্যাগ স্মরণ করা হয়। এছাড়া ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রমণ চালায় এবং অনেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডকে স্মরণ করে এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে স্মৃতিফলক ও ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে।

মূল প্রাঙ্গণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রাঙ্গণ ক্যাম্পাসটির হৃদয় এবং প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের, প্রশাসনিক ভবন, শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল এবং নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার কেন্দ্রস্থল। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রাঙ্গণ শুধুমাত্র একাডেমিক কার্যক্রমের জন্য নয়, এটি সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং ঐতিহাসিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সাক্ষী।

বিশ্ববিদ্যালয় ভবন: মূল প্রাঙ্গণের কেন্দ্রে রয়েছে প্রশাসনিক ভবন, যা ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের একটি উদাহরণ। এখানে ভাইস চ্যান্সেলর কার্যালয়, বিভিন্ন প্রশাসনিক শাখা, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা সংক্রান্ত দপ্তরগুলো অবস্থিত।

কার্জন হল: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম আকর্ষণীয় ভবন হল কার্জন হল। ব্রিটিশ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এই হলটি মূলত বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস ও গবেষণার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং স্থাপত্যের কারণে এটি দর্শনার্থীদের কাছেও বিশেষ জনপ্রিয়।

শহীদ মিনার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই অবস্থিত শহীদ মিনার, যা ভাষা আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে গর্বের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের স্মরণে এই মিনার নির্মিত হয়েছে।

টিএসসি (টিচার্স-স্টুডেন্টস সেন্টার): শিক্ষার্থীদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, এবং বিনোদনমূলক কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসেবে টিএসসি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ছাত্র-শিক্ষকদের মিলনস্থল, যেখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, এবং ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-Dhaka University

ধর্মীয় স্থান: বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং একটি গির্জা রয়েছে, যা ধর্মীয় সহিষ্ণুতার পরিচয় বহন করে এবং শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় চর্চার সুযোগ প্রদান করে।

জগন্নাথ হল: এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রাচীন হল, যা বিশেষত স্নাতক পর্যায়ের ছাত্রদের আবাসন সুবিধা প্রদান করে। এখানে একটি মন্দিরও রয়েছে, যা হিন্দু ছাত্রছাত্রীদের ধর্মীয় চর্চার জন্য ব্যবহৃত হয়।

 অপরাজয় বাংলা: অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অমর প্রতীক হিসেবে পরিচিত। এটি ১৯৭৯ সালে নির্মিত হয় এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামী মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস, দৃঢ়তা এবং আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত। এই ভাস্কর্যটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি (টিচার্স-স্টুডেন্টস সেন্টার) সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত। এতে পুরুষ, নারী ও যুবকের একটি সংগ্রামী মূর্তি দেখা যায়, যা বাঙালি জাতির অদম্য চেতনাকে প্রতিফলিত করে।

মুক্তি ও স্বাধীনতা: মুক্তি ও স্বাধীনতা ভাস্কর্যটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ভাস্কর্য। এটি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনার প্রতীক। এই ভাস্কর্যটি শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং স্বাধীনতার গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করে।

ইনস্টিটিউট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইনস্টিটিউট রয়েছে, যেগুলো দেশের শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই ইনস্টিটিউটগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষায়িত গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান করে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণার প্রতি আগ্রহ বাড়ায় এবং সমাজে জ্ঞানভিত্তিক অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টি করে।

ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (IBA): আইবিএ বাংলাদেশের প্রথম ব্যবসা শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, যা ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও উচ্চতর ডিগ্রি প্রদান করে। আইবিএ বাংলাদেশের কর্পোরেট জগতে দক্ষ পেশাজীবী এবং ব্যবসায়িক নেতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

বাংলা ইনস্টিটিউট: বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং ইতিহাস নিয়ে গবেষণার জন্য এই ইনস্টিটিউট বিশেষভাবে পরিচিত। এই ইনস্টিটিউট বাংলা ভাষার উন্নয়ন, গবেষণা ও প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সম্পর্কে গভীর আগ্রহ সঞ্চার করে।

ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (IER): আইইআর শিক্ষাবিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য প্রতিষ্ঠিত। এই ইনস্টিটিউট শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং নীতিনির্ধারকদের প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কাজ করে। শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন এবং আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি তৈরির জন্য আইইআর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করে আসছে।

পদার্থ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট: পদার্থবিজ্ঞান গবেষণায় বিশেষায়িত এই ইনস্টিটিউট আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন কণা পদার্থবিজ্ঞান, নিউক্লিয়ার ফিজিক্স এবং তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করে।

ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্সেস (INFS): খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত গবেষণা ও শিক্ষায় বিশেষায়িত এই ইনস্টিটিউট দেশে খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ: এই ইনস্টিটিউট সমাজকল্যাণ এবং সামাজিক কাজের ওপর গবেষণা পরিচালনা করে। সমাজসেবা, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং সমাজের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রাম পরিচালনার মাধ্যমে এটি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সহায়তায় কাজ করে।

ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ (IDMVS): প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলা এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় গবেষণার জন্য এই ইনস্টিটিউট কাজ করে। এখানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং সমাজের দুর্বল জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা নিয়ে গবেষণা পরিচালিত হয়।

ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (IIT): তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এই ইনস্টিটিউটটি বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অবদান রাখছে। এখানে কম্পিউটার সায়েন্স, ডাটা সায়েন্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষাদান ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

আবাসিক হলসমূহ

পুরুষ শিক্ষার্থীদের হলসমূহ:

১. সলিমুল্লাহ মুসলিম হল: ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহর নামে এই হলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রাচীন হল এবং পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এখানে শিক্ষার্থীদের আবাসন ও শিক্ষা-সংক্রান্ত সুবিধা ছাড়াও সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কার্যক্রমেরও সুযোগ রয়েছে।
২. জগন্নাথ হল: হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাত্রদের জন্য এই হলটি বিশেষভাবে প্রতিষ্ঠিত। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী হল এবং এখানে একটি মন্দিরও রয়েছে। প্রতিবছর এখানে দুর্গাপূজা, সরস্বতী পূজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়।
৩. মুহসীন হল: খাজা মোশাররফ হোসেন মুহসীনের নামে প্রতিষ্ঠিত এই হলটি পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট। এটি প্রাচীন ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতির অধিকারী এবং শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলিত জীবনযাপনের জন্য আদর্শ স্থান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪. সার্জেন্ট জহুরুল হক হল: মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট জহুরুল হকের নামে প্রতিষ্ঠিত এই হলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম পুরাতন হল। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য লাইব্রেরি, ক্রীড়া কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
৫. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল: বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এই হলটি প্রতিষ্ঠিত। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত আবাসন, লাইব্রেরি, এবং পাঠচক্রের সুযোগ রয়েছে।
৬. শহীদুল্লাহ হল: ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নামে এই হলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন ছাড়াও গবেষণার পরিবেশ ও ক্রীড়া কার্যক্রমের সুবিধা রয়েছে।

মহিলা শিক্ষার্থীদের হলসমূহ:

১. রোকেয়া হল: নারী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত প্রথম হল এটি। বেগম রোকেয়ার নামে নামকরণ করা এই হলটি নারীদের জন্য সুশৃঙ্খল আবাসন এবং নিরাপত্তা প্রদান করে। এখানে সংস্কৃতি, ক্রীড়া এবং অন্যান্য সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
২. শামসুন্নাহার হল: মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট এই হলটি একাডেমিক এবং সামাজিক পরিবেশে সমৃদ্ধ। এখানে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।
 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩. সুফিয়া কামাল হল: কবি সুফিয়া কামালের নামে প্রতিষ্ঠিত এই হলটি মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এখানে পড়াশোনা এবং সামাজিক যোগাযোগের সুযোগ থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কার্যক্রমেরও আয়োজন করা হয়।
৪. কবি জসীম উদ্দীন হল: কবি জসীম উদ্দীনের নামে প্রতিষ্ঠিত এই হলটি মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত আবাসন ব্যবস্থা ও পাঠচক্রের ব্যবস্থা রয়েছে।
সহাবস্থান হলসমূহ:
১. আন্তর্জাতিক হল: বিদেশি এবং দেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এটি সহাবস্থান হল। এখানে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সুযোগ তৈরি হয়।
২. বঙ্গবন্ধু শেখ রাসেল হল: এটি সহাবস্থান হল হিসেবে পরিচিত এবং এতে পুরুষ ও মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ব্লক রয়েছে।

শিক্ষা কার্যক্রম

ভর্তির যোগ্যতা ও প্রক্রিয়া

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। সাধারণত উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) এবং মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট জিপিএ অর্জন করতে হয়। বিভিন্ন অনুষদ এবং বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে আলাদা যোগ্যতার মানদণ্ড নির্ধারিত থাকে, যা ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকে।

ইউনিটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য বিভিন্ন অনুষদের অধীনে ইউনিটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। ইউনিটগুলোর নাম নিচে উল্লেখ করা হলো:

  1. ক ইউনিট: বিজ্ঞান অনুষদের অধীন বিভিন্ন বিষয়ের ভর্তি পরীক্ষা।

  2. খ ইউনিট: কলা অনুষদের অধীনে বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা।

  3. গ ইউনিট: ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা।

  4. ঘ ইউনিট: যে কোনো শাখার শিক্ষার্থীরা এখানে আবেদন করতে পারেন। এই ইউনিটে একাধিক অনুষদের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে।

  5. চ ইউনিট: চারুকলা অনুষদের জন্য ভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নেওয়া হয়, যা সাধারণত লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষার সমন্বয়ে হয়।

প্রত্যেক ইউনিটে আলাদা প্রশ্নপত্র থাকে এবং পরীক্ষাগুলো নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান যাচাই করে।

আবেদন প্রক্রিয়া

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে সম্পন্ন হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://admission.eis.du.ac.bd) গিয়ে শিক্ষার্থীরা আবেদন ফর্ম পূরণ করেন। আবেদন ফি নির্ধারিত ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পরে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হয়, যা ভর্তি পরীক্ষার সময় প্রয়োজন হয়।

ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, তাই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। সাধারণত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের গভীর জ্ঞান যাচাই করে থাকে। বিজ্ঞান, কলা, ব্যবসা এবং চারুকলার জন্য আলাদা পাঠ্যসূচি নির্ধারিত থাকে। শিক্ষার্থীরা সাধারণত বিভিন্ন প্রস্তুতি গাইড ও মডেল টেস্টের সাহায্যে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন।

মেধাতালিকা ও ভর্তির চূড়ান্ত পর্যায়

ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং আসনসংখ্যার ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হয় এবং ভর্তি ফি প্রদান করতে হয়।

সংরক্ষিত আসন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু আসন সংরক্ষিত থাকে। যেমন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শিক্ষার্থীরা সুবিধা পান। এছাড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্যও আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।

 

বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা

বৃত্তির ধরনসমূহ

১. মেধাবৃত্তি: ঢাবিতে প্রতিটি সেমিস্টারে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বৃত্তি প্রদান করা হয়। পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তি লাভ করেন। এটি শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নে উৎসাহ যোগায় এবং তাদেরকে আরও ভালো করার জন্য প্রেরণা প্রদান করে।

২. আর্থিক সহায়তা বৃত্তি: আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা বৃত্তি প্রদান করা হয়। পরিবারের আর্থিক অবস্থার বিবরণ প্রদান করে এই বৃত্তির জন্য আবেদন করা যায়। শিক্ষার্থীদের আর্থিক সমস্যা দূর করতে এই সহায়তা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

৩. কোটাভিত্তিক বৃত্তি: মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা এই বৃত্তির জন্য বিশেষ অগ্রাধিকার পান। এছাড়াও, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্যও সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি কিছু বৃত্তির সুযোগ রয়েছে।

৪. গবেষণা বৃত্তি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার জন্য বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা যারা গবেষণার কাজে নিয়োজিত আছেন, তারা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারেন। গবেষণার উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৫. প্রতিষ্ঠান বা দাতাসংস্থার বৃত্তি: বিভিন্ন দাতা সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বৃত্তি প্রদান করে থাকে। যেমন, বাংলা একাডেমি, শিক্ষাবৃত্তি সংস্থা, ব্যাংক, এনজিও ইত্যাদি সংস্থাগুলো থেকে নিয়মিত এই বৃত্তি প্রদান করা হয়।

বৃত্তির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া

বৃত্তির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট  বা সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ফর্ম পূরণ করে আবেদন জমা দিতে হয়। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক রেকর্ড এবং আর্থিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে বৃত্তি প্রদান করা হয়।

অন্যান্য আর্থিক সহায়তা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র বৃত্তি নয়, বরং বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনেও শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তর বিশেষ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের অর্থ সাহায্য প্রদান করে। এটি বিশেষত সেইসব শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক, যাদের হঠাৎ কোনো সমস্যার কারণে অর্থের প্রয়োজন হয়।

গ্রন্থাগার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের প্রধান বৈশিষ্ট্য

১. কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ক্যাম্পাসের প্রধান গ্রন্থাগার হিসেবে কাজ করে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদ এবং বিভাগের বই ও গবেষণাসামগ্রী একত্রিত করে রাখে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে হাজার হাজার বই, জার্নাল, পিরিয়ডিক্যাল, গবেষণাপত্র এবং থিসিস সংরক্ষিত থাকে। শিক্ষার্থীরা এখানে আসল বা ডিজিটাল ফরম্যাটে বিভিন্ন রিসোর্স ব্যবহার করতে পারেন।

২. বিভাগীয় গ্রন্থাগার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটের নিজস্ব গ্রন্থাগার রয়েছে, যেখানে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিষয়ভিত্তিক বই, জার্নাল, ম্যাগাজিন, এবং গবেষণাপত্র পাওয়া যায়। এসব বিভাগীয় গ্রন্থাগার শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট বিষয়ে গভীর গবেষণা করতে সাহায্য করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-Dhaka University

৩. ই-গ্রন্থাগার এবং ডিজিটাল রিসোর্স: বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে ডিজিটাল রিসোর্স এবং ই-গ্রন্থাগারের সুবিধা রয়েছে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বই, গবেষণাপত্র, জার্নাল, ডিজিটাল থিসিস ইত্যাদি অ্যাক্সেস করতে পারেন। এটি বিশেষত সেই শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধাজনক, যারা ক্যাম্পাসে উপস্থিত হতে পারেন না।

৪. রেফারেন্স সেবা: গ্রন্থাগারের রেফারেন্স বিভাগ শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য সাহায্য করে। এখানে তারা বিভিন্ন তথ্য, বই, এবং গবেষণাপত্র খোঁজার জন্য সহায়ক সেবা পেতে পারেন। গ্রন্থাগার কর্মীরা শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক তথ্য ও রেফারেন্স সংক্রান্ত সেবা প্রদান করেন।

৫. গ্রন্থাগারের শৃঙ্খলা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারগুলোতে শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয় এবং পাঠকরা যাতে সুনির্দিষ্ট সময়ে পড়াশোনা করতে পারেন, সে জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। গ্রন্থাগারগুলি সুশৃঙ্খল এবং পরিপাটি রাখা হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা একদম আরামদায়ক পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারেন।

গ্রন্থাগারের সুবিধা

১. বই এবং রিসোর্সের বিশাল সংগ্রহ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে দেশ-বিদেশের বই এবং পত্রিকা সহ বিভিন্ন রিসোর্স পাওয়া যায়। এটি একাডেমিক ও গবেষণার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রিসোর্স সেন্টার হিসেবে কাজ করে।

২. গবেষণা সহায়তা: শিক্ষার্থীরা এখানে তাদের গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য এবং উপকরণ পেতে পারেন। গ্রন্থাগারটি গবেষণা, শিক্ষামূলক কার্যক্রম এবং অন্যান্য একাডেমিক প্রয়োজনীয়তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।

৩. গ্রন্থাগারের ইন্টারনেট সুবিধা: গ্রন্থাগারে ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা গবেষণার জন্য বিভিন্ন অনলাইন রিসোর্স অ্যাক্সেস করতে পারেন। এটি ডিজিটাল বই, জার্নাল, এবং অন্যান্য অনলাইন ডাটাবেসে অ্যাক্সেসের সুযোগ প্রদান করে।

৪. কপি সেবা: শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারে আসল বই পড়ার পাশাপাশি সেখানকার কপির সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। এটি তাদের রেফারেন্স মেটারিয়াল বা সিলেবাসের অংশে কপি করার সুযোগ দেয়।

গ্রন্থাগারে প্রবেশের জন্য নীতিমালা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে প্রবেশের জন্য কিছু নীতিমালা এবং শর্ত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারে প্রবেশ করার জন্য সাধারণত শিক্ষানবিশ পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) নিয়ে যেতে হয়। বই বা অন্য কোন রিসোর্স ধার নেয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা এবং শর্ত অনুসরণ করতে হয়। বই হারিয়ে গেলে বা ক্ষতি হলে, তা প্রতিস্থাপনের দায়িত্ব শিক্ষার্থীকে নিতে হয়।

শেষ কথা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষালয় নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক, সামাজিক, এবং সাংগঠনিক কেন্দ্র হিসেবেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি দেশের শিক্ষা ও গবেষণার অন্যতম কেন্দ্র এবং এখানকার প্রতিটি প্রোগ্রাম এবং শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম শুধু তাদের একাডেমিক দক্ষতাই বৃদ্ধি করে না, বরং তাদের মানবিক এবং সামাজিক দায়িত্ববোধকেও প্রসারিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি, সমালোচনামূলক চিন্তা, এবং সৃজনশীলতার উন্নয়ন ঘটায়, যা তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *